Friday, January 17, 2020

ডায়োড

#প্রশ্নঃ ডায়োড
উত্তরঃ বর্তমান টেকনোলজিতে বহুল ব্যবহৃত কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ “ডাই” এবং “ইলেকট্রোড” এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ডায়োড। আমরা সাধারনত ডায়োড বলতে বুঝি দুই ইলেকট্রোড বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসকে। সেমিকন্ডাক্টর হল একটি সাধারণ পি-এন জংশন আর জংশন হল একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর এর সাথে একটি এন-টাইপ সংযোগের ফলে সৃষ্টি হয় কার্যপ্রনালী।

#ডায়োড কি কাকে বলে?
ডায়োডের দুটি দিকে দুটি কানেক্টিং টার্মিনাল বা লিড থাকে এদের একটি অ্যানোড   অপরদিকে ক্যাথোড বলা হয়। যখন কোন সার্কিটের একটি অ্যানোড পজেটিভ এবং ক্যাথোড নেগেটিভ এর সাথে যুক্ত করা হয় তখন তাকে ফরওয়ার্ড বায়াস ডায়োড বলে। আর সার্কিটের কানেকশন সংযোগ উল্টো ভাবে করলে রিভার্স বায়াস ডায়োড বলা হয়। সাধারণত ডায়োডের গায়ে লেখা থাকে তার কোনটি অ্যানেড এবং কোনটি ক্যাথোড। তবে কিছু কিছু ডয়োডের অ্যানোডের এর দিকে পজেটিভ চিহ্ন এবং ক্যাথোড এরদিকে নেগেটিভ চিহ্ন দেওয়া থাকে এই গুলো দেখেই সাধারণত ডায়োড চিনতে হয়।

রেকটিফায়ার কি রেক্টিফিকেশন কি?
ডায়োড প্রধানত ব্যবহার করা হয় এসি কারেন্ট ভোল্টেজ কে ডিসিতে কারেন্টে রূপান্তরিত করার জন্য। আর এসি কারেন্টকে ডিসি কারেন্ট করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় একমুখীকরণ বা রেক্টিফিকেশন। এবং এই ধরনের ডায়োড কে বলা হয় রেকটিফায়ার ডায়োড। রেকটিফায়ার একটি ডিভাইস সার্কিট কিন্তু রেক্টিফিকেশন হল উক্ত ডিভাইস বা সার্কিটের কাজ করার পদ্ধতি অধিকাংশ ইলেকট্রনিক্স কাজে ডিসি কারেন্ট সাপ্লাই এর প্রয়োজন হয়। এই কাজে ব্যাটারী ব্যবহার করলে অনেক বেশি খরচ হয়ে থাকে তাই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন রেকটিফায়ার এর প্রয়োজন হয়। এজন্য ইলেকট্রনিক্সের পাওয়ার সাপ্লাইয়ে রেকটিফায়ার ডায়োড ব্যবহার করা হয় এই রেকটিফায়ার ব্যবহার করে রেগুলেটেড পাওয়ার সাপ্লাই সম্ভব তৈরী করা হয়।

#প্রশ্নঃ ডায়োড কত প্রকার কি কি?
ডায়োড বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে তার মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে যে সকল ডায়োডের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো :

জেনার ডায়োড ( Zenar Diode)
লাইট ইমিটিং ডায়োড (সংক্ষেপে এলইডি)
সেভেন সেগমেন্ট ডায়োড (এলইডি ডিসপ্লে)
ফটো ডায়োড (আলোর প্রতিফলনে কাজ করে)
টানেল ডায়োড (Tunnel Diode)
ভ্যারাক্টর ডায়োড (Varactor Diode)
স্কটকি ডায়োড (Schottky Diode)
ভ্যারিষ্টার ডায়োড (Barrister Diode)
আশা করছি আজ আমরা ডায়োড সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি।

No comments:

Post a Comment