সুইচগিয়ার হচ্ছে ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেমকে প্রতিরক্ষা, প্রশমন, নিয়ন্ত্রণ ও পরিবহন উপাদানের সমষ্টি। ফল্ট সংঘটিত হওয়ার কারন এবং ধরন গত পর্বে আলোচনা হয়েছে, এই পর্বে আলোচনা করবো যেসব ডিভাইসের সমন্বয়ে সুইচগিয়ার হয় তাদের নিয়ে আলোচনা করবো।
গত পর্বের পর...
<BUSBAR >
বাসবার- বাসবার একধরনের তামা বা এলমুনিয়ামের পরিবাহী বা পাত বা মোটা রড, যা এক বা একাধিক সার্কিট হতে বৈদ্যুতিক এনার্জি সংগ্রহ করে এবং এক বা একাধিক সার্কিটের মাধ্যমে উক্ত এনার্জি বিতরণ করে।
বাসকাপলার- বাসকাপলার মূলত সার্কিট ব্রেকার ও আইসোলেটরের সমন্বয়। বাসকাপলারের চারপাশে ফায়ার ফ্রুপ দেয়াল থাকে।
বাসবার সেকশনালাইজড- বাসবারের কোনো অংশে ত্রুটি সংঘটিত হলে সমগ্র বাসবার সিস্টেমের কার্যক্রম যাতে বন্ধ হয়ে না যায় এবং এতে এতে বিভিন্ন সেকশনের সার্কিট ইনকামিং এবং আউটগোয়িং সার্কিটে সুষ্ঠ বন্টনে এ সিস্টেমের সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়া যায়।
<FUSE>
ফিউজ- ফিউজ একটি স্বল্প দৈর্ঘের কারেন্ট ক্ষমতা অনুযায়ী সরু ও কম গলাঙ্ক বিশিষ্ট পরিবাহী তার যা ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিটে সংযুক্ত থেকে নির্দিষ্ট পরিমানে কারেন্ট বহনে সক্ষম। নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হলে ফিউজ নিজে গলে গিয়ে সার্কিট কে রক্ষা করে।
ফিউজের প্রকারভেদ- ফিউজ সাধারণত দুই প্রকার:
১: Low Voltage Fuse. [ Semi enclosed re-warble fuse (500A), HRC fuse (16000A - 30000A)].
2: High Voltage Fuse. [ Curtidge fuse, Liquid type, Metal clad type, Expulsion fuse, Dropout fuse, horngap fuse]
<CIRCUIT BREAKER>
সার্কিট ব্রেকার- সার্কিট ব্রেকার একটি নিয়ন্ত্রন ও রক্ষনাবেক্ষন যন্ত্র যা সার্কিটের অস্বাভাবিক অবস্থায় ত্রুটিপূর্ণ সার্কিটকে সরবরাহ হতে বিচ্ছিন্ন করে সার্কিটকে রক্ষা করে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন করার পর এটি সার্কিটকে নিজে নিজে সংযোগ করতে পারেনা, কোনো ব্যাক্তির হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে এটি পূনরায় কার্যক্ষম করা যায়।
সার্কিট ব্রেকারের কার্যপ্রণালী- সার্কিট ব্রেকারে দুইটি স্থির ও একটি চলনশীল কন্টাক্ট থাকে, চলনশীল কন্টাক্ট পরিচালনার জন্য সি.টি, রিলে ও ট্রিপ কয়েল সার্কিট থাকে।
স্বাভাবিক অবস্থায় লাইনে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয় তার দ্বারা রিলে কয়েল এনার্জাইস্ট হয়না, এর ফলে ট্রিপ কয়েলও এনার্জাইস্ট হয়না। সার্কিটে যখনই শর্ট সার্কিট কিংবা অন্য কোনো ফল্টের কারনে লাইনে অতরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হয় তখন সি.টি তেও অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহিত হয়, ফলে সি.টি. তে থাকা সংযুক্ত রিলে কয়েলও এনার্জাইস্ট হয় এবং লিংক ম্যাকানিজমকে আকর্ষন করে। ফলে লিংক ম্যাকানিজমের সাথে সংযুক্ত চলনশীল কন্টাক্ট সরে আসে। এভাবেই সার্কিট ব্রেকার ব্রেক হয়ে সার্কিটকে রক্ষা করে। (চি
সার্কিট ব্রেকারের প্রকারভেদ:
According to Voltage-
1. Low voltage Circuit breaker (Below 1000V)
2. High voltage Circuit breaker (Above 1000V)
According to Extinguishments-
1. Oil Circuit breaker. ( Bulb oil Circuit breaker, minimum oil Circuit breake, self ganerated Circuit breaker, external generated Circuit breaker.
2. Without oil Circuit breaker. ( water Circuit breaker, air blast Circuit breaker, sulfar hexofloride Circuit breaker, vaccuam Circuit breaker.
<Relay>
রিলে: রিলে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় ডিভাইস যা যা বৈদ্যুতিক সার্কিটে পূর্ব নির্ধারিত কোনো বৈদ্যুতিক শর্তের পরিবর্তনে সাড়া দেয় এবং প্রতিরক্ষার জন্য সার্কিটে সংযুক্ত অন্যান্য ডিভাইস গুলোকে কাজ করতে সহযোগিতা করে।।
বৈদ্যুতিক সিস্টেমে রিলে সার্কিট ব্রেকার ও সিটির মাঝামাঝি অবস্থান করে, যখনই সিস্টেমে কোনো প্রকার দোষত্রুটি দেখা দেয়তখনই রিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সজাগ হয়ে উঠে এবং সার্কিট ব্রেকারের ট্রিপ কয়েলকে এনার্জাইস্ট করে। ফলে সার্কিট ব্রেকার খুলে যায় এবং সিস্টেমকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে।
সিস্টেমের প্রতিটি ত্রুটির প্রতি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয় বলে একে নীরব প্রহরী কিংবা অতন্দ্র প্রহরী বলা হয়।
রিলের প্রকারভেদ:
According to timing speciality-
1. Instantanious type relay.
2. Time delay relay.
3. Graderd time protection type relay.
4. Invers time lagg relay.
5. Definite time lagg relay.
6. Invers definite minimum time relay.
According to type of use-
1. Over voltage, over current, over power relay.
2. Under voltage, under current, under power relay.
3. Over frequency and under frequency relay.
4. Overload relay.
5. Reverse power relay.
6. Sensitive relay.
7. Distance relay
8. Instantanious relay.
9. Earthing relay.
বুখলজ রিলে: ট্রান্সফরমারের অভ্যন্তরীন ত্রুটি সনাক্ত করার জন্য বুখলজ রিলে ব্যাবহার করা হয়, এটি মূলত ট্রান্সফরমারের মেইন ট্যাংক এবং কনজারভেটর ট্যাংকের মাঝামাঝি অবস্থানে স্থাপন করা হয়।
প্রাইমারী রিলে: যে সার্কিটকে প্রটেকশন দিতে হবে রিলে সে সার্কিটে সরাসরি সংযুক্ত থাকলে তাকে প্রাইমারী রিলে বলে।
সেকেন্ডারি রিলে: যদি সিটি এবং পিটি এর মাধ্যমে রিলে সার্কিটে সংযুক্ত থাকে তাহলে উক্ত রিলেকে সেকেন্ডারী রিলে বলে। সেকেন্ডারি রিলেকে ব্যাকআপ রিলেও বলে।
স্ট্যাটিক রিলে: আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড এসোসিয়েশন এর মতে যে রিলে এর মধ্যে কোনো আর্মেচার বা অন্যকোনো ঘুর্নায়মান উপাদান থাকেনা, বরং যান্ত্রিক গতি বিহীন সলিড স্ট্যাট, ম্যাগনেটিক বা অন্যকোনো উপাদান দিয়ে কাঙ্ক্ষিত উদ্দীপনা উৎপন্ন হিয় তাকে স্ট্যাটিক রিলে বলে।
No comments:
Post a Comment